৯\\ শত্রুকে মহব্বত করুন (লুক ৬:২৭-৩৮)
(এই অংশটি পড়ার সময় গত পাঠের কথা মনে করুন- আপনার প্রাত্যহিক জীবনে ঐ শিক্ষাগুলো আপনি কতটুকু পালন করেছেন)৷
২৭-৩০ আয়াত৷
(১) আমরা অনেকেই স্বীকার করব যে, ইসার এই শিক্ষা অনুসারে আমাদের চলা উচিত৷ কেন এভাবে চলা এত কঠিন?
ইসা যদি শুধু বলতেন-"তোমার শত্রুর প্রতি সদয় হও," তাহলে কি এটা সহজ হত?
(২) মনে করুন, এই হুকুমগুলো আপনি আপনার পরিবার, সমাজ বা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করা শুরু করলেন৷ তাহলে আপনার বাড়ি, সমাজ বা কর্মক্ষেত্রে কেমন পরিবর্তন আসবে বলে আপনার মনে হয়?
যে-ব্যক্তিকে আপনি পছন্দ করেন না, যদি তার জন্য আপনি মুনাজাত করেন, তাহলে ঐ-ব্যক্তির সঙ্গে আপনার সম্পর্কের কতটুকু উন্নতি হবে (২৮ )?
(৩) ইসা মসিহ্ ঐ-হুকুমগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন, তবু কেন তাঁর এত শত্রু ছিল?
(৪) ঘৃণাকারী ব্যক্তিকে ঘৃণা কী ক্ষতি করতে পারে?
৩১-৩৮ আয়াত৷
(৫) কিতাবের এই অংশের বর্ণনা অনুসারে 'আল্লাহ্তা'লার বান্দা' এবং 'গুনাহ্গারদের' মধ্যে পার্থক্য কী?
আল্লাহ্তা'লার বান্দাদের সঙ্গে আপনার কতটুকু মিল রয়েছে আর গুনাহ্গারদের সঙ্গেই বা আপনার কতটুকু মিল রয়েছে?
(৬) যারা অন্যদের সম্পর্কে সহানুভূতিশীল না-হয়ে শুধু অভিযোগ করে, তারা কী ভুল করে (৩৬-৩৮)?
নিঃশর্ত মহব্বত যাদের বেশি প্রয়োজন, তারা কারা?
(৭) ৩৫ আয়াতে আমরা শত্রু হলেও আমাদের প্রতি আল্লাহর মহব্বতের বর্ণনা পাই৷ আয়াতটি পড়ে এই প্রশ্নটির উত্তর দিন- এমন নিঃশর্ত মহব্বতের ওপর বিশ্বাস করা একজন মানুষের পক্ষে সহজ না-কি কঠিন?
(৮) যারা ঐ-হুকুমগুলো পালন করে তাদের জন্য মহাপুরস্কারের ওয়াদা করা হয়েছে (৩৫)৷ ইসা মসিহ্ হুকুমগুলো পালন করেছিলেন কিন্তু কোন পুরস্কারের পরিবর্তে তিনি হয়েছিলেন সলিববিদ্ধ৷ কেন?
(৯) কীভাবে আমরা শত্রুকে মহব্বত করা শিখতে পারি?
যারা শত্রুকে মহব্বত করায় সফল হতে পারে নি, তারা কীভাবে আল্লাহ্তা'লার বান্দা হতে পারে?
প্রকৃত অর্থে ইসা মসিহ্ই ছিলেন ইবনুল্লাহ৷ তিনি তীব্র যন্ত্রণার মধ্যেও তাঁর শত্রুদের মহব্বত করেছিলেন, তাদের জন্য মুনাজাত করেছিলেন৷ তিনি অবশ্য নিজে পুরস্কারটি নেন নি, কিন্তু ঐ-হুকুমগুলো পালন না-করতে পারার জন্য যারা ক্ষমাপ্রাথর্ী, তাদেরকে তা দান করেছিলেন৷
ব্যক্তিগত অভিমতঃ তারিখঃ
Version for printing
Downloads
Contact us
Web-master